লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান উত্তেজনা ও সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে হিজবুল্লাহ এবার শর্তসাপেক্ষে নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে জানায়, তারা লেবানন সরকারের সাথে আলোচনায় প্রস্তুত, তবে তার আগে দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি পয়েন্ট থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও সকল ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে।
২০২৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শুরু হওয়া সংঘাতে হিজবুল্লাহ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। নিহত হন গোষ্ঠীটির বহু যোদ্ধা এবং ধ্বংস হয় তাদের বেশিরভাগ অস্ত্রভাণ্ডার। এর ফলে গোষ্ঠীটি সামরিকভাবে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই প্রেক্ষাপটে হিজবুল্লাহ এখন "জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ" হিসেবে লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। প্রেসিডেন্ট আউনের রাজনৈতিক সূত্রগুলোও জানিয়েছে, তিনি এই প্রস্তাবে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।
এদিকে, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই ইসরায়েল তার দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েনকৃত বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে পাঁচটি পাহাড়ি চূড়া দখলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রশাসনের ভাষ্যমতে, "নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল হলে" তবেই সেসব অঞ্চল লেবাননের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে হিজবুল্লাহর আলোচনায় আগ্রহকে অনেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, যা উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া ও দক্ষিণ লেবাননের ভূখণ্ড নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নীতির ওপর।